ঢাকা , বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ , ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
একটি দল সম্পর্কে লিখছেন না, সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস আবারও শাহরুখ-মাধুরী জুটিকে দেখতে চায় দর্শক! সমালোচনার জবাব দিলেন প্যারিস জ্যাকসন মারা গেলেন ব্রিটিশ তারকা সাইমন ফিশার ইন্ডাস্ট্রিকে থেকে তারা আমাকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল : গোবিন্দ ইফতারে যোগ দিয়ে তোপের মুখে বিজয় এবার ভারতীয় সিনেমায় দেখা যাবে হানিয়া আমিরকে ভারতের ফিল্মফেয়ারে মনোনীত হলেন বাংলাদেশি তিন তারকা ওমরাহ হজ পালন করতে মক্কায় বর্ষা উত্তোলন করা হলো তানজিন তিশার সহকারীর লাশ শ্রীপুরে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, যুবক আটক অংশগ্রহণমূলক ভোটের পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাজ্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়েছে ঐকমত্য কমিশন আসামিদের পক্ষে দাঁড়াবেন না আইনজীবীরা মধ্যরাতে আদালতে চার আসামি রিমান্ড মঞ্জুর পাচারকৃত টাকা ফেরাতে আগামী সপ্তাহে নতুন আইন -প্রেস সচিব সাবেক ৬৪ সচিবের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে যাচাই করবে সরকার চোখের পাতা নেড়েছে সেই শিশুটি নিরাপত্তায় কঠোর হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার করারোপের আগে বাজার প্রভাব বিশ্লেষণ চান ব্যবসায়ীরা

আন্দোলনকারীদের উপর জলকামান-লাঠিচার্জ

  • আপলোড সময় : ১৪-০২-২০২৫ ০৮:২৪:৩৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০২-২০২৫ ০৮:২৪:৩৮ অপরাহ্ন
আন্দোলনকারীদের উপর জলকামান-লাঠিচার্জ
* শাহবাগ, প্রেসক্লাব ও সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের অবরোধ
* ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, সাউণ্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার পুলিশের
* আন্দোলন ঠেকাতে কঠোর সরকার
* সিএনজিচালকদের অবরোধ


সম্প্রতি বিভিন্ন সেক্টরের চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে আন্দোলনের প্রবণতা বেড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা শহরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা, নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা এবং চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এসব আন্দোলনের ফলে সড়ক অবরোধ করা হয় এবং আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ও লাঠিচার্জ ব্যবহার করে। অপরদিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করলে মামলা ও জরিমানার নির্দেশনায় নাখোশ হয়েছেন এসব পরিবহনের চালকরা। এজন্য তারা রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করেন।
শাহবাগে শিক্ষক আন্দোলন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পাওয়ার দাবিতে আবারও ঢাকার শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। দুপুরে পুলিশ তাদের জলকামান ব্যবহার করে সরিয়ে দিয়েছে। এ সময় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, বেলা একটার দিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বাতিল হওয়া কয়েক শ’ চাকরিপ্রত্যাশী শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এ সময় চারদিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা পুলিশের কথা শোনেননি। একপর্যায়ে বেলা দুইটার দিকে পুলিশ জলকামান থেকে গরম পানি ছিটিয়ে ও ধাওয়া দিয়ে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। এরপর রাস্তায় যান চলাচল শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদ মনসুর বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। এ সময় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষকেরা বলেন, আমরা মেধা দিয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। পুলিশ ভ্যারিফাই করেই আমাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমাদের কেন আন্দোলন করতে হবে। আমাদের দাবি মানতে হবে। আমরা সাত দিন ধরে একটি যৌক্তিক দাবির জন্য আন্দোলন করছি। কোনো উপদেষ্টা কথা বলছেন না। আমরা কী এই দেশের নাগরিক নই? আমরা তো ছাত্রদের পাশে ছিলাম। এখন আমাদের পাশে ছাত্র প্রতিনিধি নেই কেন?
নিয়োগ পুনর্বহালের দাবিতে কয়েক দিন ধরেই আন্দোলন করছেন শিক্ষকেরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে এর আগেও তারা সড়ক অবরোধ করেন। সে সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
গত বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সামনে আন্দোলন চলাকালে সন্ধ্যার আগে নিয়োগপ্রত্যাশীরা ঘোষণা দেন গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি ‘জাস্টিস ফর টিচার’, ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ শুরু হবে। ছয় হাজার ৫৩১ জনের যোগদান নিশ্চিত করতে এই কর্মসূচি দেয়া হয়।
এর আগে গত সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীরা বৈঠক করেন। উচ্চ আদালতের আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
তিন ধাপে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে প্রহসন চলছে।
২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা শেষে গত বছরের ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ছয় হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন। নিয়োগবঞ্চিত কয়েকজন রিট করলে ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। পরে ছয় ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাদের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন।
নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়েছে পুলিশ। গতকাল দুপুর দুইটা ১০ মিনিটের দিকে জলকামান নিক্ষেপ করে, লাঠিচার্জ করে এবং সবশেষ তিন দিক থেকে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয় তাদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য একটি প্রস্তাবনা দেয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীরা সেটি প্রত্যাখ্যান করে উপদেষ্টাকে ঘটনাস্থলে হাজির হওয়ার জন্য দাবি জানান। একপর্যায়ে তারা সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ এবং বাইরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাদেরকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। শিক্ষার্থীরা সেটি না শোনার পর তাৎক্ষণিকভাবে জলকামান ও লাঠিচার্জ করা হয়। পরে তিন দিক থেকে পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘আমরা বারবার তাদেরকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু এরপরও তারা হঠাৎ করে আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। তখন আমরাও তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি। শিক্ষার্থীদেরকে আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন।’
অন্যদিকে, নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার কলেজের কার্যক্রম বন্ধের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁত বোর্ডের অধীন থেকে বস্ত্র অধিদফতরের আওতায় কলেজ স্থানান্তরিত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন তারা। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে নরসিংদী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কার্যক্রম বন্ধ করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হতে বলা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছেন।
চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের আন্দোলন
আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে নানা অভিযোগে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের ছত্রভঙ্গে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের সামনে অবস্থানের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের প্রেস ক্লাবে ফিরিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর সচিবালয়ের দক্ষিণ গেটে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পরিদর্শক কায়সার বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় চাকরি হারানো পুলিশের বেশকিছু কনস্টেবল তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সচিবালার গেটের সামনে এসেছিল। তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।’
চাকরি হারানো পুলিশ সদস্য ইমরানকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে বিগত সরকারের আমলে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
আমরা এই সরকারের কাছে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছি। আজকে আমাদের কেন ধরে নিয়ে যাচ্ছে, আমরা জানি না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য জানান, ইমরান ছাড়াও নাজিম ও মাইনুদ্দিন নামে আরো দু’জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পিটুনির শিকার তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘অতর্কিত হামলা করা হয়েছে আমাদের উপর। আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। পরে আমি দৌঁড়ে চলে আসছি।’
আন্দোলনকারী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য। ১০ জনকে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়েছে। কয়েকজনকে ধরেও নিয়েছে। আমরা এ হামলার সুষ্ঠু সমাধান চাই।
দুপুর সোয়া একটার দিকে হট্টগোলের মধ্যে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে এক তরুণকে টেনে নিয়ে যেতে দেখা যায় একদল পুলিশকে। আন্দোলনকারী ওই তরুণের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
সরকার বদলের পরপরই গেল বছরের ১৮ অগাস্ট চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে পুলিশ সদর দফতরের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিগত ১৫ বছরে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা।
তাদের ভাষ্য, সামান্য কারণে বিভাগীয় মামলা, বেআইনি আদেশ না শোনা, ডোপ টেস্টের নামে ফাঁদ, ছুটির জন্য তর্ক করাসহ নানা কারণে গত ১৫ বছরে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে হাজারো পুলিশ সদস্যকে।
নির্বাহী আদেশে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিও জানিয়েছেন তারা। পরে আইজিপির আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারো পথে নামেন বিভিন্ন পদের চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা।
সিএনজিচালকদের অবরোধ
সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করলে মামলা ও জরিমানার নির্দেশনায় নাখোশ হয়েছেন এসব পরিবহনের চালকরা। এজন্য তারা রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে শতাধিক সিএনজি অটোরিকশাচালক রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে টেকনিক্যাল কলেজ মোড় অবরোধ করে রাখেন। পুলিশ বলছে, বাধ্যতামূলক মিটারে সিএনজি চলাচলের সিদ্ধান্ত না মানার ঘোষণা দিয়েছেন সিএনজিচালকরা। শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম আযম জানান, সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ১০০ থেকে ১০৫ জনের মতো সিএনজিচালক সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেন। এ সময় তারা বাধ্যতামূলকভাবে মিটারে যাত্রী নিয়ে চলাচলের বিরোধিতা করে স্লোগান দেন। তবে ১০টা ৫ মিনিটে সময় তারা সড়ক ছেড়ে দেন। এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সিএনজি ও পেট্রোলচালিত অটোরিকশাকে মিটারে যাত্রী বহনের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি ইস্যু করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। অন্যথায় চালকের বিরুদ্ধে মামলা এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সিএনজি অটোরিকশার দৈনিক জমা ৯০০ টাকা হলেও মালিকরা ১১০০-১২০০ টাকা নিচ্ছেন। আইনে শিফটিং পদ্ধতি না থাকলেও মালিকরা দুই-তিন শিফট চালিয়ে ১৬০০-১৮০০ টাকা আদায় করছেন। কোনো শ্রমিক আপত্তি জানালে চাবি রেখে দেওয়া বা চাকরি হারানো নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিএনজিচালকদের অভিযোগ, মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, পথে পথে চাঁদাবাজি, স্ট্যান্ডের নামে অবৈধভাবে অর্থ আদায়সহ নানা কারণে তারা সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক অটোরিকশা চালাতে পারেন না। অতিমুনাফালোভী মালিকদের জন্য তারা বাধ্য হয়ে মিটার ছাড়া সিএনজি চালান। কারণ, প্রতি শিফটে মালিককে জমা দিতে হয় ৯৫০ টাকা। আর রাতের শিফটে সকাল ৬টা অবধি চালালেও মালিককে দিতে হয় ৯০০ টাকা। ফলে, তাদের পক্ষে মিটারে সিএনজি চালিয়ে পরিবার নিয়ে রাজধানীতে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। অন্যদিকে যাত্রীদের অভিযোগ, সিএনজিচালকরা মিটারের বাইরে গিয়ে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করেন। মিটারে যেখানে দুইশ’ টাকা ভাড়া আসার কথা, সেখানে তারা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া হাঁকান। এমনকি বৃষ্টি বা বৈরী আবহাওয়ায় এই ভাড়া হাঁকানো সীমার বাইরে চলে যায়।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স